আল্লাহর ওলির নির্দেশে বন্য হাতির পথ ছেড়ে দেওয়ার অবিশ্বাস্য গল্প | Azizur Rahman Ansari

অলৌকিক: আল্লাহর ওলির নির্দেশে বন্য হাতির পথ ছেড়ে দেওয়ার অবিশ্বাস্য গল্প

ইসলামের ইতিহাসে এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যা কেবল আমাদের বিশ্বাসকেই সুদৃঢ় করে না, বরং আল্লাহর অসীম ক্ষমতা ও তাঁর নির্বাচিত বান্দাদের মর্যাদাকে নতুন করে চিনিয়ে দেয়।

ভূমিকা: এক অলৌকিক উপাখ্যান

এমনই এক অসাধারণ ইসলামিক গল্প মাওলানা আজিজুর রহমান আনসারী সাহেব তাঁর সিলেটি ভাষায় বর্ণনা করেছেন, যা বাংলাদেশের এক মহান বুজুর্গ, হাজী ইউনুস সাহেবকে নিয়ে। এই new bangla waz বা sylheti new waz আমাদের এক অলৌকিক islamic history এর সাক্ষী করে তোলে, যা প্রতিটি ইসলামিক ভিডিও প্রেমীর জন্য এক শিক্ষণীয় উপাখ্যান।

হাজী ইউনুস সাহেব ও বন্য হাতির অলৌকিক ঘটনা

একবার হাজী ইউনুস সাহেব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) তাঁর সফরসঙ্গী ড্রাইভারকে নিয়ে এক পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তারা দেখলেন, রাস্তার মাঝখানে ১০-১২টি বিশালাকার জংলি হাতি রাস্তা অবরোধ করে বসে আছে। ড্রাইভার চরম ভীত হয়ে বললো, "হুজুর, জঙ্গলের হাতিরা তো কারো কথা শোনে না, সামনে গেলে আক্রমণ করতে পারে!" কিন্তু আল্লাহর ওলি হাজী ইউনুস সাহেব ছিলেন অবিচল। তিনি ড্রাইভারকে সামনে চলতে এবং গাড়ির গ্লাস নামিয়ে দিতে বললেন। আর ঘটলো এক অভাবনীয় অলৌকিক ঘটনা।

আল্লাহর ওলির নির্দেশে বন্য হাতির পথ ছেড়ে দেওয়া

সামনে যেতেই সবচেয়ে বড় হাতিটি তার শুঁড় দিয়ে গাড়ির কাঁচ স্পর্শ করে চলে গেল। একে একে বাকি হাতিরাও একই কাজ করে রাস্তা পরিষ্কার করে দিল। এই অলৌকিক ঘটনা ড্রাইভারের মনে নিয়ে এলো গভীর শান্তির আহ্বান। সে বললো, "হুজুর, আমি তো হাতির ভাষা বুঝলাম না!" হাজী ইউনুস সাহেব বললেন, "বাবা, সকালে আধ্যাত্মিক বার্তা এসেছে যে আপনি এই রাস্তা দিয়ে যাবেন।" ড্রাইভারের মনে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আরো দৃঢ় হলো।

বিশ্বাস ও বুজুর্গির প্রভাব

ঘটনার গভীরে: বিশ্বাস ও বুজুর্গির প্রভাব

এই islamic waz কেবল একটি গল্প ছিল না, বরং আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাসের এক সজীব দৃষ্টান্ত। হাজী ইউনুস সাহেবকে আল্লাহ তায়ালা এমন ক্ষমতা দান করেছিলেন যে তাঁর নির্দেশে বন্য হাতিরাও মাথা নত করে পথ ছেড়ে দিয়েছিল।

উলামায়ে কেরামের প্রসঙ্গ ও শিক্ষণীয় বার্তা

মাওলানা আজিজুর রহমান আনসারী সাহেব তাঁর এই bangla waz-এ আল্লামা গহরপুরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সহ বাংলাদেশের অনেক শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামের কথা বলেছেন। গহরপুরী সাহেবের বালিয়া মাদ্রাসার সেই ঘটনা, যেখানে তিনি জোহরের পর পাগড়ি বিতরণ শেষ করে রাত সাড়ে এগারোটার পর সভায় এসেও দুধ চেয়েছেন, যা তাঁর ইবাদতে মশগুল থাকার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

মূল আলোচনাটি শুনুন (ভিডিও)

আপনারা আমাদের পরিবারের অংশ!

এই শিক্ষণীয় বার্তাটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে ভিডিওতে লাইক দিন, কমেন্ট করে আপনার অনুভূতি জানান, এবং শেয়ার করে ইসলাম প্রচারে সহযোগিতা করুন। এমন আরও মূল্যবান ইসলামিক ভিডিও পেতে আমাদের Islamic Channel-টি সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকনটি ক্লিক করে রাখুন!

সম্পর্কিত আলোচনা পড়ুন

অহংকার মানবকে কীভাবে ধ্বংস করে এবং একজন পীরের শিক্ষায় কীভাবে কোটিপতির জীবন বদলে গিয়েছিল, সেই গল্পটি পড়ুন।

পোস্টটি পড়ুন

আমাদের ফলো করে পাশে থাকুন

নতুন পোস্ট প্রকাশের সাথে সাথে আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন।

ফলো করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

নবীনতর পূর্বতন