আপনি কি জানেন, গৌতম বুদ্ধও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন? চলুন, ইতিহাসের পাতা থেকে সেই বিস্ময়কর ঘটনাটি জেনে নেওয়া যাক।
ভূমিকা: ইতিহাসের এক অবাক করা সত্য
গৌতম বুদ্ধ, যাঁর শান্তি ও অহিংসার বার্তা কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করেছে, তিনি কি তাঁর অনুসারীদের শেষ নবী (ﷺ)-এর আগমনের কোনো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন? মাওলানা আব্দুর রহিম সাহেব কদম রসুলী-র একটি অসাধারণ bangla waz থেকে এই ঐতিহাসিক সত্যটি জানা যায়। এই islamic story bangla আমাদের ঈমানের গভীরতাকে নতুন করে উপলব্ধি করতে সাহায্য করে।
রাজপুত্র থেকে সাধু: গৌতম বুদ্ধের পথচলা
ভারতের কপিলাবস্তুর রাজপুত্র সিদ্ধার্থ গৌতম মানবজাতির দুঃখ-কষ্ট দেখে রাজত্ব ত্যাগ করে সত্যের সন্ধানে বের হন। দীর্ঘ সাধনার পর তিনি 'বুদ্ধ' বা 'মহাজ্ঞানী' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর প্রচারিত "জীব হত্যা মহাপাপ" নীতি এবং শান্তির বার্তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
শিষ্যরা যখন তাঁকে পৃথিবীর শেষ মহাজ্ঞানী বলে আখ্যা দেয়, তখন বুদ্ধ জবাবে বলেন, তিনি শেষ নন। তাঁর পরে আরেকজন মহান ব্যক্তির আগমন ঘটবে।
সেই ভবিষ্যদ্বাণী: কে সেই মহামানব?
মাওলানা আব্দুর রহিম সাহেব তাঁর বয়ানে উল্লেখ করেন, গৌতম বুদ্ধ ভবিষ্যৎবাণী করেন যে, ভবিষ্যতে একজন মহান ব্যক্তির আগমন ঘটবে, যাঁর নাম হবে 'মোহাম্মদ' বা 'আ আহমদ'। এই ঘটনাটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় ঈসা (আঃ)-এর করা ভবিষ্যদ্বাণীর কথা, যেখানে তিনিও 'আহমদ' নামের একজন রাসুলের আগমনের সুসংবাদ দিয়েছিলেন। উভয় মহামানবই মানবজাতিকে পরবর্তী যুগের নবীর জন্য প্রস্তুত হতে বলেছিলেন।
মূল আলোচনাটি শুনুন (ভিডিও)
উপসংহার: সত্য এক, পথ ভিন্ন
এই new waz থেকে আমরা শিখতে পারি যে, সত্যের আলো যুগে যুগে বিভিন্ন রূপে এসেছে, কিন্তু তার গন্তব্য ছিল এক। গৌতম বুদ্ধ এবং ঈসা (আঃ) উভয়ের কথাই প্রমাণ করে যে, হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)-এর আগমন কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিল না, বরং এটি ছিল আল্লাহর এক সুদীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ।
এই আশ্চর্যজনক islamic video-টি দেখুন এবং সম্পর্কিত আরেকটি মজার ইসলামিক গল্প পড়ুন:
বাহলুল পাগলের সেই অবাক করা কাহিনী!