
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর কানাইঘাট উপজেলা শাখা বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তাদের দাবিগুলো কী এবং এই সমাবেশ সিলেটের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে?
ভূমিকা: কানাইঘাটে উত্তেজনার পারদ
সিলেটের কানাইঘাটে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অঙ্গনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এবং জমিয়তে উলামা বাংলাদেশ-এর কানাইঘাট উপজেলা শাখা যৌথভাবে আগামী ২৭ আগস্ট ২০২৫, বুধবার, বাদ জুহর এক বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে। দারুল উলুম কানাইঘাট মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত এই সমাবেশের মূল লক্ষ্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু পদক্ষেপের প্রতিবাদ।
প্রতিবাদের মূল কারণ কী?
পোস্টার এবং আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, জমিয়ত মূলত দুটি প্রধান কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেছে:
- জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপন: বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে জমিয়ত। আয়োজকরা এই পদক্ষেপকে "ইসলাম ও মানবতা বিরোধী" হিসেবে দেখছেন। তাদের আশঙ্কা, এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
- "সর্বপ্রকার বাতিলের আস্ফালনের" প্রতিবাদ: পোস্টারে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হলেও, এটি ঠিক কোন আইন বা বিধানকে নির্দেশ করছে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি সম্ভবত সরকারের কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি সতর্কবার্তা।
আয়োজক ও নেতৃত্ব: কারা আছেন এই সমাবেশের পেছনে?
কানাইঘাটে জমিয়তের রাজনৈতিক অবস্থান বেশ শক্তিশালী। এই সমাবেশের আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন সিলেটের প্রখ্যাত ওলামায়ে কেরাম, যা কর্মসূচিটিকে একটি ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। নেতৃত্বে রয়েছেন:
- মাওলানা মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস লক্ষ্মীপুরী
- মাওলানা আলিমুদ্দীন দুর্লভপুরী
- মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক আকুনী
- মাওলানা শফিকুল হক সুরইঘাটি
- মাওলানা শামসুদ্দীন দুর্লভপুরী
এই শীর্ষস্থানীয় আলেমদের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, এটি শুধু একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বরং ধর্মীয় অনুভূতি এবং মূল্যবোধ রক্ষার একটি প্রয়াস হিসেবেও এটিকে দেখা হচ্ছে।
সম্ভাব্য প্রভাব: সিলেটের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ?
এই সমাবেশটি কানাইঘাট তথা সিলেটের রাজনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। এটি কি সরকারের উপর কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারবে? নাকি এটি শুধু স্থানীয় পর্যায়েই সীমাবদ্ধ থাকবে? এই সমাবেশের সফলতা বা ব্যর্থতার উপর নির্ভর করছে未来 সিলেটের রাজনৈতিক সমীকরণের অনেক কিছু।
উপসংহার: আপনার মতামত কী?
জমিয়তের এই সমাবেশ কি তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে? সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ নিয়ে তাদের দাবিগুলো কতটা যৌক্তিক? এই প্রশ্নগুলো এখন কানাইঘাটের সাধারণ মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই বিষয়ে আপনার মতামত কী? কমেন্টে আমাদের জানান।
সম্পর্কিত আরেকটি ব্লগ পড়ুন:
সাহাবী কারা? সাহাবাদের জীবনী ও মর্যাদা