মায়ের অভিশাপে যুবকের হাতে পচন ধরেছিল এবং স্বয়ং নবী (সাঃ) দোয়া করেও তার কবরের আজাব বন্ধ করতে পারেননি। হৃদয়বিদারক সেই ঘটনাটি জানুন।
ভূমিকা: জান্নাতের চাবি কার হাতে?
ইসলামের আলোয় আলোকিত জীবনের মূল ভিত্তি হলো আল্লাহর ইবাদত এবং তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়া। বিশেষ করে, মা-বাবার সম্মান ও খেদমতকে ইসলামে এতটাই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যে, এর তুলনা আর কিছুর সঙ্গে হয় না। কিন্তু আজকের সমাজে আমরা অনেক যুবককে দেখি, যারা পীর সাহেবের পেছনে গরু নিয়ে দৌড়ায়, অথচ ঘরে থাকা বৃদ্ধ মা-বাবা এক টুকরো মাংসের জন্য অপেক্ষা করেন। অনেক emotional waz বা কান্নার ওয়াজ-এ আমরা এই হৃদয়বিদারক চিত্র দেখতে পাই।
এই ইসলামিক আলোচনা-য় আমরা জানব, কেন মা-বাবার সামান্য খেদমত লক্ষ টাকা খরচ করে করা হজের চেয়েও মূল্যবান এবং কীভাবে মায়ের দোয়া একজন সাধারণ মানুষকে আল্লাহর ওলিতে পরিণত করতে পারে।
এক হাসিতে এক মকবুল হজের সওয়াব
লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে হজ পালন করা নিঃসন্দেহে অনেক বড় ইবাদত। কিন্তু সেই হজ কবুল হবে কি না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু মদিনার নবী (ﷺ) বলেন, কোনো সন্তান যদি তার মা-বাবার চেহারার দিকে একবার মায়ার নজরে, হাসিমুখে তাকায়, তবে আল্লাহ তাকে একটি মকবুল হজের সওয়াব দান করেন। (সুবহানাল্লাহ!) সাহাবীরা যখন জিজ্ঞেস করলেন, "ইয়া রাসূলাল্লাহ, যদি কেউ দিনে একশবার তাকায়?" নবীজি (ﷺ) উত্তর দিলেন, "যদি কেউ দিনে লক্ষবারও তার মা-বাবার দিকে মায়ার নজরে তাকায়, আল্লাহ তাকে লক্ষটি মকবুল হজের সওয়াব দান করবেন।"

শ্রেষ্ঠ আশিক হযরত ওয়ায়েস করনী: মায়ের খেদমতে যিনি নবীর সাক্ষাৎ ত্যাগ করেছিলেন
Islamic history-র এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন হযরত ওয়ায়েস করনি (রহ.)। তিনি নবীজি (ﷺ)-কে না দেখেও তাঁর এমন প্রেমিক ছিলেন যে, উহুদের যুদ্ধে নবীর দাঁত শহীদ হওয়ার খবর শুনে নিজের বত্রিশটি দাঁত ভেঙে ফেলেছিলেন। তিনি নবীজির সঙ্গে দেখা করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা রাখলেও যেতে পারেননি। কারণ তার বৃদ্ধা মা অসুস্থ ছিলেন এবং তিনি মায়ের খেদমত ছেড়ে এক মুহূর্তের জন্যও দূরে যেতে চাননি। তিনি সংবাদ বাহকের মাধ্যমে নবীজিকে জিজ্ঞেস করে পাঠান, "আমি কি আমার অসুস্থ মাকে রেখে আপনার সাক্ষাতে আসতে পারি?" রহমতের নবী উত্তর পাঠালেন:
"আমার ওয়ায়েসকে গিয়ে বলো, আমার সাক্ষাতের চেয়ে তার বৃদ্ধা মায়ের খেদমত করা আল্লাহর কাছে অনেক বেশি দামী।"
এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, ইসলামে মা-বাবার খেদমতের মর্যাদা কতটুকু। হযরত ওমর (রাঃ)-এর মতো জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীকেও নবীজি (ﷺ) ওয়ায়েস করনির কাছ থেকে দোয়া নিতে বলেছিলেন, কারণ মায়ের খেদমতের বদৌলতে আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করার ক্ষমতা দিয়েছিলেন।

একটি কঠোর সতর্কবার্তা: মায়ের প্রতি অবিচারের করুণ পরিণতি
আলোচনায় একটি বাস্তব এবং ভয়ঙ্কর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। এক যুবক ফুটবল খেলতে যাওয়ার জন্য নামাজেরত অবস্থায় তার মাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছিল। এর পরিণতিতে, ছেলেটির পায়ে পচন ধরে এবং দুটি পা-ই কোমর পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়। দুনিয়াতেই সে তার কৃতকর্মের ভয়াবহ শাস্তি ভোগ করেছিল। এটি আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা—মা-বাবার প্রতি সামান্যতম অবিচারও আল্লাহর আরশকে কাঁপিয়ে দেয় এবং এর শাস্তি দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জায়গায়ই অবধারিত।
আমাদের করণীয়: অনুশোচনা ও ক্ষমা প্রার্থনা
যারা না বুঝে যৌবনে মা-বাবাকে কষ্ট দিয়েছেন, তাদের জন্য করণীয় হলো:
- যাদের মা-বাবা জীবিত: পায়ে ধরে হলেও তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। তাদের খেদমত করা এবং তাদের দোয়া নেওয়া।
-
যাদের মা-বাবা কবরে শায়িত: হতাশ না হয়ে তাদের জন্য করণীয় হলো—
- মা-বাবার বয়সী চাচা-চাচি, খালা-খালু বা তাদের বন্ধুদের খেদমত করা।
- মা-বাবার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া করা: "রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা"।
- চোখের পানি ফেলে আল্লাহর কাছে তাদের জন্য ক্ষমা চাওয়া।
মূল আলোচনাটি শুনুন (ভিডিও)
উপসংহার
এই islamic video বা আলোচনা থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই, তা হলো—মা-বাবা আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। তাদের অসন্তুষ্ট রেখে শবে কদর বা শবে বরাতেও ক্ষমা পাওয়া যায় না। তাই আসুন, আমরা মা-বাবার খেদমত করি, তাদের দোয়া নিই এবং তাদের মায়ার নজরে দেখে প্রতিদিন মকবুল হজের সওয়াব অর্জন করি। এই new waz বা আলোচনা থেকে শিক্ষা নিয়ে, আসুন আমরা ইসলামের আলোয় জীবন সাজিয়ে প্রতিটি মুহূর্তে আলহামদুলিল্লাহ বলি এবং অহংকারমুক্ত জীবন গড়ার চেষ্টা করি। আমিন।
এই শিক্ষণীয় islamic video-টি দেখুন এবং সম্পর্কিত আরেকটি ব্লগ পড়ুন:
আবু জর গিফারী (রা) এর গোপন আমল
` ট্যাগ সরিয়ে দিয়েছি এবং লেখার মধ্যে সুন্দর ব্যবধান তৈরির জন্য CSS margin ব্যবহার করেছি। 5. **ডিজাইন ও পঠনযোগ্যতা বৃদ্ধি:** * শিরোনাম (h2, h3), প্যারাগ্রাফ (`
`), এবং তালিকার (`
- `) মধ্যে মানানসই ব্যবধান (spacing) তৈরি করা হয়েছে, যাতে পোস্টটি পড়তে আরামদায়ক হয়।
* blockquote এবং শেষের "সম্পর্কিত ব্লগ পড়ুন" বক্সটির ডিজাইন আরেকটু সুন্দর ও পরিষ্কার করা হয়েছে।
6. **ইউটিউব ভিডিও প্লেয়ার:**
* আপনার দেওয়া লেজি-লোডিং ইউটিউব প্লেয়ারের কোডটি খুবই চমৎকার এবং পারফরম্যান্সের জন্য দারুণ। আমি কোডটি অপরিবর্তিত রেখেছি, শুধু এর স্টাইল এবং স্ক্রিপ্টগুলোকে পোস্টের শেষে একসাথে রেখেছি যাতে কোডটি পরিষ্কার থাকে।
এই পরিবর্তনগুলোর ফলে আপনার পোস্টটি এখন শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, বরং Google PageSpeed Insights-এর দৃষ্টিকোণ থেকেও অনেক বেশি অপটিমাইজড এবং দ্রুত লোড হবে।