আউলাদে রাসুল, সায়্যিদ আফফান মনসুরপুরীর হৃদয়গ্রাহী ভাষণে জানুন, কেন পবিত্র কুরআন এবং মাদ্রাসা শিক্ষাই হলো আমাদের ঈমানের রক্ষাকবচ এবং মুসলিম পরিচয়ের মূল স্তম্ভ।
ভূমিকা: মুসলিম পরিচয়ের মূল ভিত্তি
সম্প্রতি ভারত থেকে আগত আউলাদে রাসুল, প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার সায়্যিদ আফফান মনসুরপুরী এক হৃদয়গ্রাহী ভাষণে মুসলিম উম্মাহর পরিচয় এবং অস্তিত্বের মূল ভিত্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁর মূল উর্দু ভাষায় দেওয়া এই ইসলামিক আলোচনা বর্তমানে একটি সেরা নতুন ওয়াজ হিসেবে মানুষের হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন যে, পবিত্র কুরআন এবং মাদ্রাসা শিক্ষাই হলো আমাদের ঈমানের রক্ষাকবচ এবং মুসলিম পরিচয়ের মূল স্তম্ভ। এই islamic video থেকে নেওয়া শিক্ষাগুলো আমাদের পথ দেখাবে।
মাদ্রাসা কেন মুসলিম অস্তিত্বের রক্ষাকবচ?
সায়্যিদ আফফান মনসুরপুরী তাঁর আলোচনায় মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু ইট-পাথরের দালান নয়, বরং এগুলো মুসলিমদের ঈমানি চেতনার কেন্দ্রবিন্দু। তাঁর এই waz থেকে আমরা শিখতে পারি:
- পরিচয়ের প্রতীক: মাদ্রাসাগুলো আমাদের দ্বীনি পরিচয়ের প্রতীক। যতদিন এই মাদ্রাসাগুলো থাকবে, ততদিন মুসলিমদের ঈমানি রক্ত ও আবেগ সতেজ থাকবে। আমাদের islamic history এর সাক্ষী।
- ঈমানের দুর্গ: মাদ্রাসার সাথে আমাদের সম্পর্ক দুর্বল হয়ে গেলে শত্রুরা খুব সহজেই আমাদের ঈমান ও আমলকে ধ্বংস করে দেবে। তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, মুসলমান জীবন দিতে পারে, কিন্তু ঈমানের সাথে কোনো আপস করতে পারে না।
মূল আলোচনাটি শুনুন (ভিডিও)
কুরআনের হাফেজ: দুনিয়া ও আখিরাতের শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ
এই কান্নার ওয়াজ অংশে বক্তা হাফেজদের মর্যাদা সম্পর্কে অত্যন্ত আবেগঘন ভাষায় আলোচনা করেন। তিনি বলেন, যে সন্তানরা কুরআনকে নিজেদের অন্তরে ধারণ করে, তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানের জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদে পরিণত হয়।
- শ্রেষ্ঠ নিয়ামত: একটি শিশুকে হাফেজ বানানো কেবল একটি পুণ্যের কাজই নয়, বরং এটি দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। এই নেয়ামতের জন্য শুকরিয়া জানাতেই হয়, আলহামদুলিল্লাহ।
- কবরের জীবনের সাথী: যে ব্যক্তি দুনিয়াতে quran recitation এবং এর শিক্ষাকে আঁকড়ে ধরবে, পবিত্র কুরআন তার কবরের জীবন পর্যন্ত সাথী হবে। কবরের কঠিন মুহূর্তে কুরআন তার জন্য সুপারিশ করবে এবং কবরকে জান্নাতের বাগানে পরিণত করবে।

প্রতিদিনের জীবনে কুরআন তেলাওয়াত
এই বাংলা ওয়াজ এর অন্যতম শক্তিশালী বার্তা ছিল দৈনন্দিন জীবনে কুরআনের গুরুত্ব নিয়ে। সায়্যিদ আফফান মনসুরপুরী বলেন:
- অবিচ্ছেদ্য অভ্যাস: আমাদের জীবনে এমন একটি দিনও যাওয়া উচিত নয়, যেদিন আমরা কুরআন পাঠ করিনি। খাবার বা পানি ছাড়া হয়তো একটি দিন চলে যেতে পারে, কিন্তু কুরআন তেলাওয়াত ছাড়া একটি দিনও পার করা উচিত নয়।
- আল্লাহর নৈকট্য: নিয়মিত কুরআন পাঠের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকটবর্তী হয়, তার দুনিয়া ও আখিরাতের কোনো কাজই আর আটকে থাকে না।

উপসংহার
আউলাদে রাসুল সায়্যিদ আফফান মনসুরপুরীর এই waz mahfil আমাদের চোখ খুলে দেয়। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আধুনিকতার স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে আমরা যেন আমাদের পরিচয়ের মূল ভিত্তি থেকে সরে না যাই। আমাদের ঈমান ও আমল সুরক্ষিত রাখতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইসলামের আলো দেখাতে কুরআন ও মাদ্রাসার কোনো বিকল্প নেই। আসুন, আমরা সবাই কুরআনের সাথে সম্পর্ককে আরও মজবুত করি এবং মাদ্রাসা শিক্ষাকে সমর্থন করি।
এই শিক্ষণীয় islamic video-টি দেখুন এবং সম্পর্কিত আরেকটি ব্লগ পড়ুন:
মায়ের এক ফোঁটা দুধের ঋণ এবং নবীর (সাঃ) কান্না