সময়ের কসম: যে ৪টি গুণে মানুষ চূড়ান্ত মুক্তি পাবে - মাওলানা জামাল উদ্দিন আজম

সময়ের কসম: যে ৪টি গুণে মানুষ চূড়ান্ত মুক্তি পাবে - মাওলানা জামাল উদ্দিন আজম


সময়ের কসম: ধ্বংস বনাম সফলতা – যে ৪টি গুণে মানুষ চূড়ান্ত মুক্তি পাবে | মাওলানা জামাল উদ্দিন আজমী

আমরা দুনিয়ার জীবনে কে সফল আর কে ব্যর্থ, তার এক নিজস্ব হিসাব কষি। অর্থ, সম্মান আর ক্ষমতাকে আমরা প্রায়শই সফলতার মাপকাঠি মনে করি। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সফলতার মানদণ্ড কী? কারা প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত এবং কারা চূড়ান্তভাবে সফলকাম? এই চিরন্তন ও গভীর প্রশ্নগুলোর উত্তর লুকিয়ে আছে পবিত্র কুরআনের অন্যতম সংক্ষিপ্ত কিন্তু সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সূরা, সূরা আল-আসরে, যা মানবজাতির সফলতার এক পূর্ণাঙ্গ সংবিধান।

সম্প্রতি এক আলোড়ন সৃষ্টিকারী new waz মাহফিলে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা জামাল উদ্দিন আজমী এই সূরার এক অনবদ্য তাফসীর পেশ করেছেন। তাঁর এই islamic bangla waz আলোচনাটি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, ঈমান আনার পর আমাদের প্রকৃত দায়িত্ব কী এবং কীভাবে চারটি কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতে চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করা যায়। চলুন, জামাল উদ্দিন আজমী সাহেবের সেই জ্ঞানগর্ভ আলোচনার গভীরে প্রবেশ করি।

প্রেক্ষাপট: যখন ‘আল-আমিন’ এর বিরুদ্ধে শুরু হলো অপপ্রচার

আলোচনার শুরুতে jamal uddin azmi এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। আমাদের প্রিয় নবী (ﷺ) নবুয়তের আগে দীর্ঘ ৪০ বছর মক্কার সমাজে ‘আল-আমিন’ বা ‘পরম বিশ্বাসী’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বড় বড় কাফেররাও নির্দ্বিধায় তাঁর কাছে নিজেদের মূল্যবান সম্পদ আমানত রাখত। কিন্তু যেই মুহূর্তে তিনি আল্লাহর নির্দেশে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র দাওয়াত দেওয়া শুরু করলেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই সেই লোকেরাই তাঁর প্রধান শত্রুতে পরিণত হলো।

এই bangla waz আমাদের শেখায়, সাহাবায়ে কেরাম যখন ইসলাম গ্রহণ করে নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন কাফেররা তাঁদেরকে "ক্ষতিগ্রস্ত" ও "ধ্বংসপ্রাপ্ত" বলে উপহাস করত। তাদের এই ভ্রান্ত ধারণার জবাবেই আল্লাহ সময়ের কসম করে জানিয়ে দেন কারা প্রকৃতপক্ষে সফল আর কারা ব্যর্থ।

সময়ের শপথ: জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান পুঁজি

আল্লাহ তায়ালা সূরাটি শুরুই করেছেন সময়ের কসম করে। মাওঃ জামাল উদ্দিন আজমী বলেন, আল্লাহ এখানে সময়ের কসম করে আমাদের জীবনের মূল্য বুঝিয়েছেন। আমাদের জীবনটা অনেকটা বরফখণ্ডের মতো, যা প্রতিনিয়ত গলে যাচ্ছে। এই মূল্যবান ও সীমিত সময়কে যে কাজে লাগাতে পারবে না, সে-ই চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। দুনিয়ার এই পরীক্ষার হল থেকে একবার বিদায় নিলে আর ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই।

  সময়ের কসম যে ৪টি গুণে মানুষ চূড়ান্ত মুক্তি পাবে মাওলানা জামাল উদ্দিন আজম


মুক্তির ৪টি কর্মসূচি: যারা ক্ষতিগ্রস্ত নয়

আল্লাহ সময়ের কসম করে সকল মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত বললেও চারটি গুণের অধিকারীদের ব্যতিক্রম বলেছেন। এই চারটি গুণই হলো সফলতা ও মুক্তির চাবিকাঠি। এই islamic waz থেকে আমরা এই চারটি কর্মসূচির বিস্তারিত জানতে পারি।

১. ঈমান: সকল সফলতার মূল ভিত্তি

প্রথম এবং প্রধান শর্ত হলো ঈমান আনা। তবে এই ঈমান শুধু মুখে বলার বিষয় নয়, বরং এটি অন্তরের গভীর বিশ্বাস, যা মানুষকে শিরক থেকে মুক্ত রাখে। একজন খাঁটি ঈমানদারের মর্যাদা আল্লাহর কাছে বাইতুল্লাহর চেয়েও বেশি।

রেফারেন্স: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
مَنْ شَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ النَّارَ
“যে ব্যক্তি এ কথার সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

নিজস্ব প্রতিফলন: আজকের ডিজিটাল যুগে হাজারো মতবাদ ও সংশয়ের ভিড়ে খাঁটি ঈমান ধরে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তরুণদের জন্য এর অর্থ হলো, শুধুমাত্র উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বিশ্বাসে সন্তুষ্ট না থেকে, জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজের বিশ্বাসকে আরও মজবুত করা এবং এমন বন্ধুদের সঙ্গ দেওয়া যারা আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

২. আমলে সালেহ (সৎকর্ম): ঈমানের বাস্তব প্রতিফলন

শুধু ঈমান আনাই যথেষ্ট নয়, বরং সেই অনুযায়ী নেক আমল বা সৎকর্ম করতে হবে। ঈমান হলো একটি গাছের মূলের মতো, আর নেক আমল হলো তার শাখা-প্রশাখা ও ফল। নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতের মতো ফরজ ইবাদত থেকে শুরু করে মানুষের সাথে উত্তম আচরণ—সবই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত।

রেফারেন্স: আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ...
"...কিন্তু তারা ব্যতীত, যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে..." (সূরা আল-আসর, আয়াত: ৩)

নিজস্ব প্রতিফলন: নেক আমল মানে শুধু বড় বড় ইবাদত নয়। পিতামাতার সাথে হাসিমুখে কথা বলা, রাস্তায় পড়ে থাকা একটি কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেওয়া, অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভালো কথা শেয়ার করাও নেক আমল। আমাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট ভালো কাজগুলোই আল্লাহর কাছে বিশাল হয়ে উঠতে পারে।

৩. হকের দাওয়াত: সত্যের দিকে আহ্বান

একজন ঈমানদারের দায়িত্ব শুধু নিজেকে সংশোধন করা নয়, বরং সমাজকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান করাও তার কর্তব্যের অংশ। পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে হক কথা প্রতিষ্ঠা করার জন্য একে অপরকে উপদেশ দিতে হবে।

  হকের দাওয়াত: সত্যের দিকে আহ্বান

রেফারেন্স: আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ ۚ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
“আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিত, যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে, সৎকাজের নির্দেশ দেবে এবং অসৎকাজে নিষেধ করবে; আর তারাই হলো সফলকাম।” (সূরা আলে-ইমরান, আয়াত: ১০৪)

নিজস্ব প্রতিফলন: হক কথা বলার অর্থ ঝগড়া বা বিতর্ক করা নয়, বরং حکمت ও ভালোবাসার সাথে সত্যকে তুলে ধরা। একজন বন্ধুকে নামাজের কথা মনে করিয়ে দেওয়া, অথবা কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে যৌক্তিকভাবে নিজের অবস্থান তুলে ধরাও হকের দাওয়াতের অংশ।

৪. সবরের উপদেশ: ধৈর্যের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়

যখন ঈমানের কারণে, নেক আমলের কারণে বা হকের দাওয়াত দেওয়ার কারণে বিপদ-মুসিবত আসবে, তখন চতুর্থ কর্মসূচি হিসেবে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সবর হলো মুমিনের অন্যতম বড় হাতিয়ার।

রেফারেন্স: আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَابِرِينَ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।” (সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৫৩)

নিজস্ব প্রতিফলন: জীবনের কঠিন সময়ে, যেমন—পরীক্ষার চাপ, ক্যারিয়ারের অনিশ্চয়তা বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনে হতাশ না হয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখাই হলো সবর। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি কষ্টের পর স্বস্তি রয়েছে এবং আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন।

ঈমানী জযবার এক জীবন্ত উপাখ্যান

নবীর প্রতি ভালোবাসা কতটা গভীর হতে পারে, তার এক অসাধারণ চিত্র ফুটে ওঠে আলিমুদ্দিন নামক এক যুবকের ঘটনায়। ব্রিটিশ আমলে এক লেখক নবী (ﷺ)-কে ব্যঙ্গ করে বই লিখলে সাধারণ কাঠমিস্ত্রি আলিমুদ্দিনের ঈমানী রক্ত টগবগ করে ওঠে। সে তার মাকে বলে যায়, "নবীর এই দুশমনকে দুনিয়া থেকে বিদায় না করা পর্যন্ত আমি ফিরব না।" পরবর্তীতে সে ওই লেখককে হত্যা করে এবং নির্ভয়ে তা স্বীকার করে। কারাগারে থাকাকালীন সে স্বপ্নে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দেখে, যিনি তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দেন। বিচারের সময় সে বিচারককে বলেছিল, "তাড়াতাড়ি রায় দিন, আমার নবী ﷺ জান্নাতের মালা নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছেন।" এই ঘটনাটি আমাদের শেখায়, ঈমান, নেক আমল ও হকের পথে চলার জন্য সবরের প্রয়োজন কতটুকু।

আজ থেকেই শুরু করুন (করণীয় তালিকা)

জ্ঞান তখনই অর্থপূর্ণ হয় যখন তা আমলে পরিণত হয়। এই আলোচনা থেকে পাওয়া শিক্ষাগুলো জীবনে বাস্তবায়নের জন্য আজ থেকেই কিছু পদক্ষেপ নিন:

  • আত্মসমালোচনা করুন: এই সপ্তাহের মধ্যে অন্তত একবার সূরা আসরের অর্থ ও তাফসীর পড়ুন এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন, এই চারটি গুণের মধ্যে কোনটিতে আপনি দুর্বল।
  • একটি ছোট লক্ষ্য ঠিক করুন: প্রতিদিন অন্তত একটি ছোট নেক আমল করার অভ্যাস করুন যা আগে করতেন না। যেমন, সময়মতো নামাজ পড়া বা কাউকে সাহায্য করা।
  • জ্ঞান শেয়ার করুন: এই পোস্টটি অথবা মাওলানা জামাল উদ্দিন আজমীর মূল waz mahfil -এর ভিডিওটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ভালো কথা ছড়িয়ে দেওয়াও একটি সদকা।
  • ধৈর্য অনুশীলন করুন: যখনই কোনো ছোটখাটো বিষয়ে অধৈর্য বা রাগান্বিত হবেন, তখন আল্লাহর কথা স্মরণ করে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করুন।

মূল আলোচনাটি ভিডিওতে শুনুন

সফল জীবনের ৪টি স্তম্ভ (ইনফোগ্রাফিক)

❤️ ঈমান: শিরকমুক্ত বিশুদ্ধ বিশ্বাস।
🤲 নেক আমল: বিশ্বাসের বাস্তব প্রতিফলন।
🗣️ হকের দাওয়াত: পরস্পরকে সত্যের উপদেশ।
🏔️ সবর: বিপদে অবিচল ধৈর্য।
মূল বার্তা: এই চারটি গুণই ক্ষতি থেকে মুক্তি এবং চূড়ান্ত সফলতার চাবিকাঠি।

কিছু সাধারণ প্রশ্ন (FAQ)

প্রশ্ন ১: হক কথা বলতে গিয়ে যদি সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে, তাহলে কী করব?

উত্তর: হক কথা বলতে হবে حکمت বা প্রজ্ঞার সাথে, কঠোর ভাষায় নয়। উদ্দেশ্য থাকবে সংশোধন করা, অপমান করা নয়। যদি ভালোবাসার সাথে বলা হয়, তবে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। চূড়ান্ত ফলাফল আল্লাহর হাতে।

প্রশ্ন ২: শুধু মনে মনে বিশ্বাস রাখলে বা ঈমান থাকলেই কি যথেষ্ট নয়?

উত্তর: না। ইসলামে ঈমান ও আমল অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। অন্তরের বিশ্বাসকে অবশ্যই কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হয়। যেমন, কেউ যদি বলে সে তার والدينকে ভালোবাসে কিন্তু তাদের সেবা করে না, তবে তার দাবিটি প্রশ্নবিদ্ধ।

প্রশ্ন ৩: বারবার চেষ্টা করার পরও ধৈর্য ধারণ করতে পারি না, কী করব?

উত্তর: ধৈর্য একবারে আসে না, এটি একটি অনুশীলন। আল্লাহর কাছে constantemente সাহায্য চাইতে হবে (দু'আ করতে হবে) এবং ছোট ছোট বিষয়ে ধৈর্য ধরার অভ্যাস করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আল্লাহ চেষ্টার প্রতিদান দেন।

সম্পর্কিত আলোচনা পড়ুন

মুসা নবীর বিশাল উম্মত দেখে নবীজির মন কেন ভারাক্রান্ত হলো? এক বিস্ময়কর স্বপ্নের ঘটনা

পোস্টটি পড়ুন

শেষ কথা

পরিশেষে, এই আলোচনাটি নিছক একটি ওয়াজ নয়, এটি আমাদের জন্য একটি আত্মজিজ্ঞাসার আয়না। আমরা কি আমাদের মূল্যবান সময়কে কাজে লাগাচ্ছি? আমাদের ঈমান কি শিরকমুক্ত? আমাদের জীবনে কি নেক আমলের প্রতিফলন আছে? আমরা কি সত্য কথা বলার এবং শোনার সৎ সাহস রাখি? আর বিপদে আল্লাহর ওপর ভরসা করে ধৈর্য ধারণ করতে পারি কি?

এই চারটি প্রশ্নের উত্তরই নির্ধারণ করে দেবে আমরা সফলদের অন্তর্ভুক্ত, নাকি ক্ষতিগ্রস্তদের। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই চারটি কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন করে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা অর্জন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

আমাদের ফলো করে পাশে থাকুন

নতুন পোস্ট প্রকাশের সাথে সাথে আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন।

ফলো করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

নবীনতর পূর্বতন